পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

বাংলা ভাষায় 'দায়' বলে একটি শব্দ এখনও অভিধানে পাওয়া যায়। বাস্তবে তার ব্যবহার কতটা হয়, সে প্রশ্ন বিতর্কিত। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের প্রাকমুহূর্তে বামপন্থীদের সেই দায়ের কথাটা বোধ হয় আরও একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঝালাই করে নেওয়া উচিত।

Read more


আবারো একটি ঐতিহাসিক ভুল হতে চলেছে। শুধু নিজেরা ক্ষমতায় থাকার জন্যেই তৃণমুল বিজেপির বিরোধিতা করছে, কোনও পলিসি বা নীতির বিরোধিতা করছে না। বামেদের দায়িত্ব ছিল বিজেপিকে সর্বস্তরে বিরোধিতা করার, যাতে তারা কেন্দ্রের বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে তৃণমূলের প্রতিযোগী হয়ে উঠতে পারে।

Read more


এ হেন অরাজনৈতিক পার্টিজান তর্ক আসলে দক্ষিণপন্থী প্রবণতা। কথাটা যে সত্যি, বামপন্থীদের মধ্যেও যে দক্ষিণপন্থা ঢুকে পড়ছে, তার প্রমাণ কেরালা সরকারের পুলিশ আইনে নবতম সংশোধনী। ফেসবুক পোস্টের জন্য কারাবাস্ অথবা জরিমানা করার আইন যদি কোন বামপন্থী সরকার করে, তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে যারা, তাদের পায়ের তলার মাটি সরে যায়। অতএব কে কত বড় মার্কসবাদী, কে অতিবাম আর কে বুর্জোয়া দলে পরিণত হয়েছে --- সে তর্ক এখন থাক না। বামপন্থা মানুষের জন্য, মানুষ তো বামপন্থার জন্য নয়।

Read more

by প্রতীক | 27 November, 2020 | 1732 | Tags : Left Movement CPIM CPIML BJP TMC


বিজেপি যেন ধোয়া তুলসি পাতা। কোনও দুর্নীতি যেন তাদের স্পর্শ করে না। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শা কিংবা ওদের দলের ছোট বড় মেজো নেতা কারণে অকারণে কংগ্রেস বা অন্য বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়। অথচ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে চলছে অন্তহীন দুর্নীতি। তারই কিছু খবর এখানে দেওয়া হল।

Read more

by বিস্ময় বসু | 05 December, 2020 | 3068 | Tags : Corruption BJP TMC


আমাদের মতো কেশ-শল্যবিদ্যায় পারদর্শী কূটকাচালিকদের মতে, আব্বাস সাহেব যেমন অবশ্যই সেকুলার নন, তেমনই তাঁকে এখনই মৌলবাদী বলে দাগিয়ে দেওয়াও ঠিক হচ্ছে না। এটা বোঝার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ডক্টরেট হতে হয় না যে এই সেকুলার ফ্রন্টের মূল কাজ তৃণমূলের মুসলিম সমর্থক এবং/অথবা ভোটারকুলের মধ্যে খাবলা বসানো। যেটা বামপন্থার ঝাল মশলা দিয়ে এখনও সম্ভব হচ্ছে না, কেন না, এই সব বৃহৎ বামপন্থীরা অনেক দিন ধরেই বাঁদিকের ফুটপাত ধরে আর হাঁটছেন না।

Read more


নেতাজির ব্রিটিশবিরোধী ভুমিকাকে মোদীরা এখন খুবই প্রশংসা করে থাকেন। অথচ তাঁরা নিজেরা কখনও আমাদের দেশে ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি। বরং তাঁরা এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করে বিদেশি ব্রিটিশস্বার্থ সেবাকেই তাঁদের ধর্ম বলে ঘোষণা করেছিলেন।

Read more


আমি নিজে ৩৭ বছর ধরে সার্বক্ষণিক কর্মী হিসাবে একটা দলে কাজ করে বাম জমানায় টিএমসি-র সঙ্গে রাজনৈতিক জোট করায় দল ছেড়েছিলাম। কেন না, ওরকম জোটের মধ্যে থেকে সত্যিই আমি কাজ করতে পারতাম না! আমরা বামপন্থীদেরই চাই। সিপিএম-এর রাজনীতির অন্য সমালোচনা যাই থাকুক, যদি নির্বাচনে তারা একটা সৎ, স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন অবস্থান নিয়ে বিজেপি-বিরোধিতায় সদর্থক ভূমিকা পালনে ব্রতী হতেন, আমরা অন্তত নির্বাচনী সময়টুকুতে তাদের সঙ্গেই স্বচ্ছন্দ বোধ করতাম।

Read more


তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকলাপের মধ্যে অনেক কিছুই আছে যা আমাদের অপছন্দ হতে পারে। তার সমালোচনা যেমন করে যেতে হবে, তেমনি তার ভুল কাজ গুলির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে রাস্তায় ও নামতে হবে। বিজেপি কে প্রধান শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করার অর্থ এ নয় যে বাম শক্তিগুলি কে শাসক দলের ভুল কাজগুলিকেও সমর্থন করে যেতে হবে। আগামি দিনগুলি তে তৃণমূল কংগ্রেস শাসক দল থাকুক বা নাই থাকুক, বিজেপির বিপদটা আরো বড় আকারে হাজির হতে চলেছে।

Read more


তাবড় পোল-পণ্ডিতদের মিথ্যে প্রমাণিত করে বিপুল সংখ্যাধিক্য নিয়ে ক্ষমতায় এল তৃণমূল কংগ্রেস। শেষ খবর অনুযায়ী তৃণমূলের ঝুলিতে ২১৪টি আসন। ফলে গেল প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যৎবাণী। বিজেপি পার করতে পারল না দুই অঙ্ক। তাদের আসন সংখ্যা ৭৬। তৃতীয় বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনাকে অভিনন্দন মমতা। কভার ছবি ঃ টেলিগ্রাফ পত্রিকার সামনের পাতার ছবি।

Read more


পশ্চিমবঙ্গের সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষদের কাছে নিশ্চিতভাবে স্বস্তিদায়ক।ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ও বিজেপি আগ্রাসী হিন্দুত্বকে ভরকেন্দ্রে রেখে যেভাবে রাজ্যের নির্বাচনে বাজিমাৎ করতে চেয়েছিল তাকে সচেতন মানুষ সফল হতে দেয় নি।একই সঙ্গে এটাও সত্যি যে বিজেপির ফ্যাসিবাদী, সাম্প্রদায়িক, বিভেদকামী রাজনীতিকে উন্মোচিত করতে নন- পার্টি বিভিন্ন মঞ্চ ও ফোরাম ( নো ভোট টু বিজেপি, একুশের ডাক,দিল্লির সংগ্রামী কৃষক নেতৃত্ব, বিভিন্ন প্রগতিশীল পত্রিকা, পোর্টাল,সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ের রুপরেখা কি হবে তা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এই লেখা একটি প্রস্তাবনা মাত্র।

Read more


লড়াই করে লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গ রুখে দিয়েছিল, ৭১'এর যুদ্ধে ভাই বলে ওপার বাংলার মানুষকে এপার বাংলায় ঠাঁই দিয়েছিল, যে বাঙালির বুকে আজও টাইগার হিলের সূর্যোদয়ের আলো, তারা পাহাড়, ডুয়ার্স, মল্ল রাজাদের ভূম আলাদা করতে দেবে? বঙ্গভঙ্গ ছেলেখেলা নয়। ১৯০৫ সালে হাতে রাখি পরে রাস্তায় নেমে বাঙালি গেয়ে উঠেছিল "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।" সেই ঐতিহ্য, সেই পরম্পরা আমাদের উত্তরাধিকার। বঙ্গভঙ্গের প্রশ্ন উঠলে আমরা আবার রাখি পড়ব, রাস্তায় নামব, গণ আন্দোলন হবে।বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের উচিত অবিলম্বে সর্বভারতীয় নেতাদের হাতে একটি করে বাংলার ইতিহাস ও ভূগোলের বই ধরিয়ে দেওয়া।

Read more


আজ গোয়া, কাল মেঘালয় পরশু ত্রিপুরা, এই ভাবে কংগ্রেসকে দুর্বল করে কি বিজেপিকে সামনের লোকসভায় পরাজিত করা সম্ভব? কিন্তু তৃণমূল তাহলে কি উদ্দেশ্যে এই কাজটা করছে? নিন্দুকেরা প্রশ্ন করছেন, কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এই ঘোড়া কিনতে টাকা দিচ্ছেন? কোনও লড়াই ছাড়া, কেন তৃণমূল এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে প্রধান বিরোধী মুখ হয়ে উঠতে চাইছে?

Read more


বিজেপি-বিরোধী দলগুলো আজ পথহারা পথিক। তা না হলে এরা কংগ্রেসকে পায়ের তলায় রাখতে চাইছে কেন? এখন কি এর উপযুক্ত সময়! তৃণমূল কংগ্রেসের ডিক্টেটর ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কংগ্রেসকে দাবিয়ে রাখতে চায়। বিজেপি-বিরোধী ব্যাপক ঐক্য গড়া যে সহজ নয়, তার প্রমাণ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন।

Read more


দেবানুর মহাদেবা রচিত পুস্তিকা ‘আরএসএস: তার গভীরতা ও ব্যাপ্তি’ কর্নাটকে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। কর্নাটকে হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলোর আগ্ৰাসন এখন তার শিখরে পৌঁছেছে। হিজাব, আজান, পাঠ্যপুস্তকে পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন, ইত্যাদি ইস্যুগুলোকে ধরে তারা আক্রমণাত্মক মুসলিম-বিরোধী প্রচার লাগাতার চালিয়ে আসছে।

Read more


বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ বললেন, সব আরএসএস নাকি খারাপ নয়, কিছু ভালো আরএসএস ও আছে, কিন্তু এই আরএসএস যে জঙ্গী প্রশিক্ষণ শিবির করছে তা কি তিনি জানেন ?

Read more

by সুমিতা দাস | 03 September, 2022 | 1557 | Tags : RSS Terrorist Camp BJP


রাহুল গান্ধীর ' ভারত জোড়ো যাত্রা " বহুদিন পর বিজেপির সরকারের কোনো কাজের প্রতিক্রিয়ায় নয়, স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের দিক থেকে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় কংগ্রেস নিজের অ্যাজেন্ডা সেট করছে। সেই কারণেই, এই পদযাত্রার একমাসের মধ্যেই সঙ্ঘের অনেককেই প্রথমবারের জন্য বিজেপি সরকারের আমলে বাড়তে থাকা বেকারত্ব, দারিদ্র্যের পরিসংখ্যান ইত্যাদি নিয়ে কথা বলতে বাধ্য হচ্ছে।

Read more


কংগ্রেসের শক্তিবৃদ্ধি কি সত্যিই দারিদ্র্যদূরীকরণে সহায়ক হবে? এ প্রশ্ন মৌলিকভাবে জরুরী, কিন্তু এখন লক্ষ্য হিন্দু রাষ্ট্রের শকটকে শুধু রোখা নয়, ভেঙ্গে চূর্ণ করাও। সেই সংকল্প রূপায়নের ভিত গড়বে এই কর্মসূচি, সেই প্রত্যাশা কোটি কোটি মানুষের। তাছাড়া এই মুহূর্তে দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার্থে মোদী-শাহর ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর বিকল্প কিছু নেই।তার জন্য সমস্ত বিরোধী পক্ষকে একটা জায়গায় আসতেই হবে। এই ভারত জোরো পদ যাত্রা সেই সম্ভাবনাকে সবল করবে।

Read more


সিপিআইএম রাজ্য নেতারা বলেন, মোদী ও মমতা উভয়ই খুব খারাপ, ফলে দুজনের বিরুদ্ধেই লড়াই চালাতে হবে একসাথে। ইদানিং বিজেমূলের গল্প বিশেষ শোনা যাচ্ছে না বটে, কিন্তু মানসিকতার কোন বদল হয়নি আদৌ। ধরে নেওয়া যাক, মমতা ও মোদী সমান খারাপ, সমান ভয়ংকর। কিন্তু যুক্তি কি বলে, মোদী ও মমতার ক্ষতি করার সুযোগ বা ক্ষমতা কি এক?

Read more


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি সরকারী অনুষ্ঠানে জয় শ্রী রাম শ্লোগান তোলা নিয়ে তাঁর আপত্তি জানিয়ে থাকেন, নিশ্চিত উচিৎ কাজই করেছেন, কিন্তু আরো একটা কথা থেকেই যায়, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছিলেন, তখন কি তিনি ভুলে গিয়েছিলেন, যে এই প্রধানমন্ত্রী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়েই গুজরাট গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল? তিনি কি ভুলে গিয়েছিলেন এই প্রধানমন্ত্রী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মানুষদের নিয়ে কী বলেছিলেন?

Read more


অবশেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আপাতত মাথা নত করলো, কেন্দ্রীয় সরকার। কলেজিয়াম পদ্ধতি যত দিন না পরিবর্তন হচ্ছে, ততদিন বিচারপতিদের আসন শূন্য থাকবে বলে হুমকি দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকার অবশেষে ৪৪ জন বিচারপতিকে নিয়োগ করবে বলে জানালো সর্বোচ্চ আদালতে। কি সেই কলেজিয়াম ব্যবস্থা, যা নিয়ে এতো ভীত কেন্দ্রের সরকার? কলেজিয়ামের পরিবর্তে NJAC হলেই কি সব সমস্যার সমাধান হবে, সেই নিয়েই এই আলোচনা।

Read more


আম আদমি পার্টির দ্বিতীয় ব্যক্তি, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার কি অ্যাডভান্টেজ বিজেপি? এই গ্রেপ্তারের মধ্যে দিয়ে কি বিরোধী ঐক্য মজবুত হবে, না এটা একটা কৌশল, বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরানোর?

Read more


দুর্বল কেন্দ্র ও সবল রাজ্য বিরোধী এই মতাদর্শগত পশ্চাদপদতার আলোচনার শুরুতে এটুকু বলা উচিত যে আজকাল ভবিষ্যতের থেকে কম্যুনিস্টরা স্মৃতি রোমন্থনেই বেশি স্বস্তি অনুভব করেন। আজকাল নাকি সমাজতান্ত্রিক জনচেতনার বড়ই অভাব, যা নাকি এককালে বিরাট ছিল --- এই ভ্রান্তিতেই আমাদের দিন কাটছে। আমরা ভুলেই গেছি বোধহয় যে প্যারী কম্যুনের সাহস হয়নি মেয়েদের ভোটাধিকার দেওয়ার। বা ১৮৮৬ সালের সেই ঘটনার সময় ট্রেড ইউনিয়নগুলিতে মেয়েদের প্রবেশাধিকার দেওয়া কিছুতেই হয়নি। তৃতীয় লিঙ্গদের সমাজের অন্তর্ভুক্তিকরণের সাহস হয়নি কয়েক দশকের আগের গণচেতনার।

Read more


কর্ণাটকের নির্বাচন শেষ হয়েছে, ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ১৩৫টি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে। তারপরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যদি কংগ্রেস বাংলায় তাঁদের বিরুদ্ধে না লড়াই করে, তাহলে তাঁরা অন্যান্য রাজ্যে কংগ্রেসকে বিজেপির বিরুদ্ধে সমর্থন করতে রাজি। বিজেপি বিরোধী ঐক্য কি আদৌ সম্ভব বাংলায়? এই কথার অর্থ কী, খুঁজলেন রাহুল মুখার্জী।

Read more


আসন্ন নির্বাচনে মোদীকে পরাজিত করাই রাহুলের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জকে সফল করার মূলমন্ত্র হচ্ছে বিরোধী ঐক্য। সেই ঐক্য সঠিকরূপে গড়তে পারলেই মোদীর পরাজয় সুনিশ্চিত। কিন্তু সেই ঐক্য গড়ার কাজটিই সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন। তবে কঠিন হলেও তা অসম্ভব নয়। বিশ্লেষণ করলেন কল্যাণ সেনগুপ্ত

Read more


কেন্দ্রীকরণের বিরুদ্ধে পালটা আন্দোলন চাই গ্রাম সংসদ/ গ্রাম সভা প্রতিষ্ঠার। গ্রামের মানুষই, গ্রাম উন্নয়নের পরিকল্পনা তৈরি করবে—এই স্লোগান তুলেই শুরু হোক এই দুঃশাসনীয় কেন্দ্রীকরণ আর হিংস্র দুর্নীতিরাজের বিকেন্দ্রীকরণের বিরুদ্ধে লড়াই। লিখলেন দেবাশিস আইচ।

Read more


রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ সহ হিন্দি বলয়ে, কংগ্রেসের ভরাডুবির কারণ কী, এই প্রশ্নে আজ অনেক আলোচনা হবে। সেই আলোচনাতে কিঞ্চিৎ কিছু চিন্তার খোরাক দেওয়ার কথা চিন্তা করে এই লেখা। বিজেপিকে হারাতে গেলে, শুধুমাত্র তাঁদের অনাচার, অত্যাচারের কথা বললে হবে না। এমন কিছু পজিটিভ শ্লোগান তুলে আনতে হবে, যাতে প্রতিটি ভোটার ভাবতে বাধ্য হয়, হয়তো বিরোধী ‘ইন্ডিয়া জোট’কে ক্ষমতায় আনলে, তাঁর ও ভালো হতে পারে, ব্যক্তিগত স্তরে।

Read more


সাম্প্রতিক পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে আবার মনে হলো, বিজেপি’র সোসাল এঞ্জিনিয়ারিং কতটা শক্তিশালী। যদিও দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানাতে তাঁরা পরাজিত হয়েছে, কিন্তু সেখানেও তাঁদের আসন বেড়েছে। যে কথাটা এই নির্বাচনকে মাথায় রেখে বলা উচিৎ, তা হলো রাহুল গান্ধীও নিজেকে পাপ্পু ইমেজ থেকে বার করে গ্রহণযোগ্য নেতা হয়ে উঠছেন দ্রুত। তিনি পরিশ্রম করছেন। কিন্তু তিনি কংগ্রেসের বৃদ্ধ নেতাদের কড়া হাতে মোকাবেলা করতে পারেননি। সেই জন্যেই একটা প্রশ্ন করা জরুরি, দক্ষিণ ভারত কি পারবে, কংগ্রেসকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনতে?

Read more


রামমন্দিরের ধর্মীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে সংসদীয় নির্বাচনের দৌড়ে, সবচেয়ে বড় প্রশ্নটাই হলো বহু চর্চিত বিরোধী ঐক্য সম্ভব কিনা ! পুরস্কার অথবা কারাবাস, বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে এটাই যখন 'নিউ নর্ম্যাল' এক দেশ, এক দল, এক নেতা তত্ব কে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে, তখন বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করবে এই ভাবনা অবান্তর নয় কি ? যদিও দেশটাকে শাসকদলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল স্তরের নেতা পর্যন্ত গণতন্ত্রের মাতৃভূমি হিসেবে প্রচার করে থাকেন। সেই গণতন্ত্রের নিউ নর্ম্যালে নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে বিরোধীদের।

Read more


আমরা যদি একবার হাইকোর্টের এজলাসে বসে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিভিন্ন মন্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধীকে আক্রমণের বিষয়টিকে মাথায় রাখি, তাহলে একমাত্র ব্রাজিলের সার্গিও মোরোর বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদাহরণই মনে পড়বে। এবং তাঁকে নিয়ে কলকাতার তথাকথিত প্রথম শ্রেণির সংবাদমাধ্যম এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলির উদ্বাহু হয়ে নৃত্য করার সময় খেয়াল ছিল না অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই কথাগুলি আইনের এক্তিয়ার মেনে বলছেন না নিজেকে ‘মসিহা’ বলে তুলে ধরার চেষ্টায় ক্রিজের বাইরে গিয়ে খেলছেন।

Read more


খবরটা শুনে চটাদার কাছেই প্রথম ছুটে গেলাম। অনেক কাল ধরেই রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি, এদিক ওদিক মতামত দিচ্ছি, নানা রকম তর্কবিতর্ক শুনছি, নিজেও যেখানে যা পারি বলছি, কিন্তু সত্যিই বলছি, জীবনে এতটা ধাক্কা কখনও খাইনি। এর থেকে নিজেকে উদ্ধার করতে, এর পেছনকার রহস্য উদ্ঘাটিত করতে ভূভারতে কেউ যদি পারে, সে শুধু চটাদাই পারবেন। প্রচুর অভিজ্ঞতা থেকেই এটা আমার দৃঢ় উপলব্ধি।

Read more


হলদ্বানিতে উচ্ছেদ ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক বিষয় এবং তা সংখ্যাগুরু আধিপত্যকামী রাজনীতি হওয়ায় উচ্ছেদে বিফল হয়ে ধর্মীয়ভাবে আঘাত করল। এর কিছু আশু উদ্দেশ্য আছে। ধর্মস্থানে আঘাত-ধর্মীয় পরিচিতির দিক থেকে বিরোধিতা-হিন্দু ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দেওয়া— একটি উদ্দেশ্য হতে পারে।

Read more


ইলেকটোরাল বন্ডের যে তথ্য এসবিআই দিয়েছে তাতে এখনো সরাসরি কোন দল কার থেকে কত টাকা নিয়েছে তার প্রমাণ জুটছে না। পরোক্ষ প্রমাণ জুটছে। বিশেষজ্ঞরা সেই সব প্রমাণ নিয়ে মাথা ঘামিয়ে কয়েকটা কথা আমাদের জন্য উদ্ধার করেছেন। আমরা সেই প্রমাণের দিকে যাব না। বরং আমরা একটু ভক্ত, ভগবান আর ধনী-দরিদ্রের সম্পর্কটাকে দেখে নিই। ঐ কৃষ্ণ-সুদামা গল্প দিয়েই।

Read more


ইতিহাসবিদরা প্রায় সকলেই বলেছেন যে পলাশীর ষড়যন্ত্রের পেছনে যে যে কারণই থাকুক না কেন, বিভিন্ন স্বার্থের দ্বন্দ্ব যে পরিমাণেই ক্রিয়াশীল থাকুক না কেন, হিন্দু মুসলিম প্রশ্ন একেবারেই কোনও বিবেচনাধীন বিষয় ছিল না। পলাশীর ষড়যন্ত্রকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণে হিন্দু মুসলিম বিরোধ হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া একদিকে যেমন ইতিহাসবিকৃতি, তেমনি অন্যদিকে বিজেপির ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ও সমাজকে বিভাজনের ধারাবাহিক অপচেষ্টার আর এক চরম নিন্দনীয় প্রয়াস।

Read more


ভোট গ্রহণের দিন যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার যত তীব্র হচ্ছে, একটাই প্রশ্ন সমগ্র দেশজুড়ে, কর্তৃত্ববাদী দক্ষিণপন্থী শক্তিকে কি পরাস্ত করতে পারবে অসংলগ্নতা এবং খণ্ডিত হওয়ার ঝুঁকি বহনকারি বিরোধীজোট ?

Read more


ভোট ব্যবস্থা এবং ভোটের মাধ্যমে শাসক বদলের নেপথ্যে যে সব রহস্যময় ক্ষমতার সমীকরণ প্রধান ভূমিকা নেয়, সেসব কখনোই মূল ধারার সংবাদপত্র জনসমক্ষে আনতে চায় না। অতিসরলীকৃত কিছু ন্যারেটিভ এর মধ্যে জনমানসকে তারা বেঁধে রাখতে চায়। এই আখ্যানের বাইরে গিয়ে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এবং পট পরিবর্তনের বাস্তবতাকে একটু বোঝার চেষ্টা করা যাক।

Read more


২০২৪ এর জাতীয় কংগ্রেস ২০০৯ সালের কংগ্রেসের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত, সাধারণ মানুষের অনেক বেশি কাছের। রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রায় প্রত্যক্ষ করেছেন গরিব খেটে খাওয়া মানুষের যন্ত্রনা। তারই প্রকাশ ঘটেছে কংগ্রেসের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে। ওদিকে বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারের নাম ‘মোদির গ্যারান্টি’। মূলত সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদকে ভিত্তি করে বি জে পি- র এবারের সংকল্প পত্র। ১৪ টি বিষয়ে তারা জোর দিয়েছে। একটি তূলনামূলক বিশ্লেষণ রাখলেন দেবাশিস মিথিয়া।

Read more


ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার শপথ নিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের টিশার্ট এবং গাড়িতে আজ রাগী হনুমানের ছবির অনিবার্য উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। হনুমানের এই নতুন চেহারার ন্যায্যতা প্রমাণে কোন স্বল্পশ্রুত পুরানের কথা উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে এটা হনুমানের রূদ্ররূপ। ফ্যাসিবাদে চিহ্ন, প্রতীক,মোটিফের ব্যবহার বহু আলোচিত কারণ মানুষকে উগ্র জাতীয়তাবাদে উদীপ্ত করার লক্ষ্যে এই চিহ্নগুলোকে সুকৌশলে ব্যবহার করা হয়। হনুমানের এই বিবর্তনকে আমাদের সেই প্রেক্ষাপটেই বিচার করতে হবে।

Read more


বাজারে জোর খবর বিজেপির নির্বাচনী রথ ২৪০ আসনে আটকে যাওয়ায় আরএসএস বেজায় ক্ষুব্ধ। অনেকে বলছেন দল যদি ৩০০ আসন পেত তাহলে নাগপুরের গুরুরা বিশ্বগুরুর একাধিপত্য মাথা পেতে মেনে নিতেন। অনেকে বলছেন বিজেপি বিপাকে পড়লে সংঘ খুশিই হয় কারণ তখন তাঁদের গুরুত্বটা প্রতীয়মান হয়ে ওঠে। কিন্তু সত্যিটা কী? বিজেপি এবং আরএসএসের মধ্যে কি দূরত্ব বাড়ছে?

Read more


আজ পশ্চিমবাংলার মানুষ বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে তৃণমূলকেই বিশ্বাসযোগ্য দল বলে মনে করছে। যদি বাম শক্তি জিএসটির প্রশ্নে বিজেপির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রচার আন্দোলন চালাত, যদি নোট বন্দি- রাফায়েল চুক্তি- তিন কৃষি আইন- এনআরসি- অন্যায় ভাবে গণ কন্ঠকে কারাগারে পাঠানো- এনআইএ ইডি- সিবিআই এর বাড়াবাড়ি ও ব্যবহার এগুলো নিয়ে লড়াই করলে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে বামেদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়তো। পরিবর্তে বামেরা এসবই তৃণমূল কে এই রাজ্যে দুর্বল করবে ধরে নিয়ে দূর থেকে মজা দেখেছে।

Read more


২০১৯ সালে দিলীপ ঘোষকে ম্যানেজ করে বিজেপির ঘরের যে ভোটটা গতবার অধীর চৌধুরি পেয়েছিলেন এবার সেই ভোটটা বিজেপির ঘরে ফিরে যাওয়াতেই বিপত্তি ঘটলো। কার্তিক মহারাজের সাম্প্রদায়িক ভূমিকা ও অধীরকে 'গুড হিউমার'এ রেখে হিন্দু ভোটকে এককাট্টা করার ক্ষেত্রে তার সক্রিয়তাও এর একটা বড় কারণ। এবার দেখা, কংগ্রেস নেতৃত্ব কী করে?

Read more


একটি পৌর ওয়ার্ডে দুটি বাংলা মাধ্যমের প্রাথমিক বিদ্যালয় উঠে গেছে। এখন যে দুটি আছে তার একটি ছাত্র সংখ্যা খাতায়-কলমে ১৭ হলেও, বাস্তবে ওটা ৬/৭জন। অর্থাৎ বলা যায় বাংলা মাধ্যম প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি। অথচ আলোচ্য সময়ে একটি সুবৃহৎ ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় চালু হয়েছে। যেখানে দেড় হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী। উল্লেখযোগ্য এই স্কুলে দ্বিতীয় ভাষা হিন্দি। এছাড়াও এই অঞ্চলে নতুন দুটি হিন্দি স্কুল গড়ে উঠেছে। বাংলা মাধ্যম স্কুল উঠে যাচ্ছে। আর ইংরেজি ও হিন্দি মাধ্যম জন্ম নিচ্ছে। এটি একটি ওয়ার্ডের ছবি হলেও, বিষয়টা যে সার্বিক, তা না বলে দিলেও স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।

Read more